শেকড়ের টানে ভোগান্তি নিয়েই ছুটছে মানুষ | jagonews24.com

  • 3 years ago
গত ২৩ মে দীর্ঘলাইনে অপেক্ষারি পর যারা কাঙ্ক্ষিত টিকিট হাতে পেয়েছিলেন, সেসব ঘরমুখো মানুষই আজ পরিবার-পরিজন নিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনে এসেছেন। ঈদকে সামনে রেখে অগ্রিম টিকিটের সিডিউল অনুয়ায়ী আজ দ্বিতীয় দিনের মতো কমলাপুর স্টেশন থেকে ট্রেনযোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে যাচ্ছেন।

ঈদ আসলেই টিকিটপ্রাপ্তি থেকে শুরু করে বাড়ি পৌঁছা পর্যন্ত পথে পথে ভোগান্তি পোহাতে হয় ঘরমুখো মানুষদের। তবুও ঘরে ফেরাতেই যেন সব আনন্দ। একঘেয়েমি জীবনের সাময়িক বিরতি দিয়ে কর্মজীবী এসব মানুষের সামনে আসে প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার মুহূর্ত। প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার ঐতিহ্য বাঙালির দীর্ঘদিনের। তাইতো শত ভোগান্তি-বিড়ম্বনা উপেক্ষা করে মানুষ ছুটে চলেছেন নাড়ির টানে।

আজ সকাল থেকেই কমলাপুর স্টেশনে সব ট্রেনগুলো ঘরে ফেরা মানুষের ভিড়ে ঠাসা। তবে অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনেগুলোতে মানুষের উপস্থিতি ছিল।

সকাল থেকে কিছুটা বিলম্বে ট্রেন ছেড়ে গেলেও চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ৩ ঘণ্টা বিলম্বে ছাড়বে বলে স্টেশন থেকে জানানো হয়। ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার নির্ধারিত সময় সকাল ৮টা হলেও ১০ টা ৫৫ মিনিটে প্ল্যার্টফর্মে পৌঁছায়। রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তা একঘণ্টা বিলম্বে ১০টার পরে ছেড়ে যায়।

‘রংপুর এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি গতকাল প্রায় ৭ ঘণ্টা বিলম্ব স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে পৌঁছায়। ফলে অতিরিক্ত একটি ট্রেনকে ‘রংপুর এক্সপ্রেস’ ট্রেনের নামকরণ করে আজ কমলাপুর ছাড়ে।

এ বিষয়ে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক বলেন, ‘গতকাল ট্রেনটি ব্যাপক লেট ছিল, সেই গ্যাপটা পূরণ করতে আমরা অন্য একটি ট্রেনকে “রংপুর এক্সপ্রেস” নামকরণ করে আজকের মতো পাঠিয়েছি। তবে আগামীকাল থেকে রংপুর এক্সপ্রেস মূল ট্রেনটিই চলাচল করবে।’

এদিকে তুলনামূলক খারাপ অন্য একটি ট্রেনকে ‘রংপুর এক্সপ্রেস’ নামকরণ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। ট্রেনটির যাত্রী আহমেদ তাহের বলেন, ‘গত ২৩ মে দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রেনটির এসি টিকিট পেয়েছিলাম। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি কিন্তু রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি সিট আর এই এসি সিট এক নয়। তাহলে আমার এত ভোগান্তি সহ্য করে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটে কী লাভ হলো? ত?

Recommended