২৩ কেজি ওজনের পাউরুটির দাম সাড়ে ১১ হাজার টাকা || jagonews24.com
  • 3 years ago
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে বিশেষ ধরনের খাবার আয়োজনের রেওয়াজ দেশের মুসলমানদের বহুদিনের ঐতিহ্য। রাজধানীর পুরান ঢাকার বিভিন্ন বেকারিতে এদিন তৈরি করা হয় বাহারি নকশার পাউরুটি, মিষ্টি ও হালুয়া। এসব রুটির মধ্যে নকশি এবং স্পেশাল রুটিগুলো বিশেষ রঙিন বাক্সে আলাদা করে রাখা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় টেবিল বসিয়ে সাজিয়ে রাখা এসব দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়। নকশি, ফেন্সি নামের এসব রুটি ৭০ গ্রাম থেকে শুরু করে ১৭ কেজি এবং সর্বশেষ যত বড় তৈরি করা যায়। নানা নকশা থাকে এসব রুটিতে। সবচেয়ে ভালো নকশা করা রুটিই ক্রেতাদের নজর কাড়ে।

এসব রুটি তৈরি করা হয় কুমির, মাছসহ বিভিন্ন আকৃতির। এবারের শবে বরাতে ২৩ কেজি পর্যন্ত ওজনের একটি রুটি তৈরি করা হয়েছে। কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ৫০০ টাকায়। সে হিসাবে একটি পাউরুটির দাম পড়ে সাড়ে ১১ হাজার টাকা। আর হরেক রকমের সুস্বাদু হালুয়াও পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে।

রোববার সন্ধায় পুরান ঢাকার নজিমউদ্দীন রোড থেকে ভেতরে চকবাজার, সাতরওজা ও আগামাসি লেন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

শবে বরাত উপলক্ষে সকাল থেকেই পুরান ঢাকার বিভিন্ন বেকারিতে ক্রেতাদের ভিড়। আনন্দ কনফেকশনারিতে বিশেষ হালুয়া-রুটির আয়োজন করা হয়েছে। দোকানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে হরেক রকম সুস্বাদু হালুয়া। গাজরের হালুয়া বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি, পেঁপের হালুয়া ৬০০, মাস্কাটের হালুয়া-৪০০, দুধ লাউয়ের হালুয়া ৬০০, বুটের হালুয়া-৬০০, পেস্তা বাদামের হালুয়া ৬০০, মাল্টার হালুয়া ৮০০ টাকা কেজি। এমনি করে থরে থরে সাজানো হালুয়ার বক্স আলাদা আলাদা করে গ্লাসযুক্ত আলমারিতে রাখা হয়েছে। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী কয়েকজন মিলে সরবরাহ করছেন এসব হালুয়া-রুটি ও মিষ্টি।

পুরান ঢাকার আবুল হাসনাত রোডের কয়েকটি বেকারি ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে ছোট-বড় রুটি এবং হালুয়া কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। নানা রকর হালুয়া এবং ছোট-বড় রুটিসহ বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি বিক্রি চলছে।

সেখানে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত কেজিতে রুটি বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে বড় রুটির ওজন ২৩ কেজি আর এর দাম হাকানো হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজি। যদিও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো ক্রেতা পাওয়া যায়নি বা এ রুটির জন্য কেউ অর্ডার করতেও আসেনি। তবে সব রুটিই বিক্?
Recommended