প্লাস্টিকের চাল নিয়ে যা বললেন গাইবান্ধার ডিসি || jagonews24.com
  • 3 years ago
গাইবান্ধায় ‘প্লাস্টিকের চাল’ জব্দের বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর থেকে প্রসাশনসহ বিভিন্ন মহলে এ নিয়ে নানা কৌতুহল জেগেছে। এ সম্পর্কে জানাতে চাইলে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন।

তিনি বলেন, গাইবান্ধা শহরের নতুন বাজারের একটি দোকান থেকে প্লাস্টিকের চাল সন্দেহে জব্দ করার পর তা প্রাথমিক পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় চাল ভিজে ও রান্না করে প্রতীয়মান হয়, চালের ভাত স্বাভাবিক চালের মতো। উদ্ধার করা চাল প্লাস্টিকের চাল নয়। এ চাল নিম্নমানের কিংবা ভেজাল হতে পারে। এ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য জনসাধারণকে আহ্বান জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, জব্দ করা চাল প্লাস্টিকের কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য ঢাকার ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ সময় গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রোকসানা বেগম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. তোফায়েল হোসেন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহিরুল ইসলাম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. শওকত ওসমান, জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গাইবান্ধা সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার জানান, গাইবান্ধা শহরের মুন্সিপাড়ার রনি মিয়া গত রোববার শহরের নতুন বাজারের রুবান দেওয়ানের দোকান থেকে ছয় কেজি চাল কেনেন। ওই দিন রাতে বাড়িতে ওই চালের ভাত রান্না করা হয়। কিন্তু ভাত খেতে গিয়ে পরিবারের লোকজন এক ধরনের গন্ধ পান। এতে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।

এরপর সোমবার সকালে ওই চাল ভাজলে সেগুলো কুঁচকে ও পুড়ে-গলে গেলে সন্দেহ আরও গভীর হয়। তখন রনি মিয়া ওই চাল নিয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় উপস্থিত হয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানান।

রনি মিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার রায় ও জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মাছুম আলীকে অবগত করা হয়। এরপর সদর ইউএনও উত্তম কুমার রায়ের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠন করে সোমবার ওই দোকানে অভিযান চালানো হয়।

এছাড়া সোমবার শহরের ডিবি রোডসহ আরও কয়েকটি চালের দোকানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় রুবানের চালের দোকান থেকে দেড় বস্তা চাল ?
Recommended