গিনেস বুক অব রেকর্ডের প্রচেষ্টায় দেশলাই কাঠির “অমর জওয়ান জ্যোতি”

  • 4 years ago
২০১৮ সালে স্টেপল পিনের চেন, ২০১৯ সালে আপেল বীজের মালা দিয়ে পৃথিবীর মধ্যে গিনেস বুক অব রেকর্ডে নাম তালিকাভুক্ত করার পর অবশেষে হ্যাটট্রিকের পথে তৃতীয়বারের জন্য প্রচেষ্টা “অমর জওয়ান জ্যোতি ম্যাচ স্টিক মোজাইক ইমেজ”।নদিয়ার শান্তিপুরের বাসিন্দা অনুপম সরকার পেশায় বাচিক শিল্পী। এবার সে করতে চলেছে শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে অবস্থিত অত্যন্ত সম্মানের সেই বিখ্যাত শহীদ স্মৃতিসৌধ অনুকরণে একটি ইমেজ। প্রসঙ্গত অমর সৈনিকদের স্মৃতিসৌধের চারকোনায় প্রজ্জ্বলিত অনির্বাণ অগ্নিশিখা, ১৯৭১ সালের পর থেকে কোন দিনের জন্য নেভেনি আজও। গেটের দুটি বড় স্তম্ভের পাথরের ফলকে দেশের সমস্ত শহীদদের নাম খোদাই করে লেখা আছে।

২০১৩ সালের ১১ ই জুন আনুমানিক ১৩৬৯৫১টি দেশলাই কাঠি ব্যবহার করে ইউনেস্কোর সেক্রেটারির ব্যবস্থাপনায় বিশ্ব শান্তি দিবসের দিন ইউনেস্কোর লোগো অনুকরণে ইরানের মেসম রহমানির একটি কৃতকর্ম খ্যাতির শীর্ষে স্থান করেছিল। অনুপম সরকার আনুমানিক দু লক্ষ কুড়ি হাজারেরও বেশি দেশলাইয়ের কাঠি ব্যবহার করে ১ ইঞ্চি পুরু ৪ ফুট বাই ৬ ফুটের একটি প্লাইউডের বোর্ডের উপর ওই “অমর শহীদ স্মৃতিসৌধ” তৈরি করেছেন দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস পরিশ্রম করে। অবশ্য লকডাউনে গৃহবন্দি থাকার জন্যই বেশ কিছুটা সময় সাশ্রয় হয়েছে এই কাজে। ১৫ ই আগস্ট ভারতবর্ষের স্বাধীনতা দিবসের দিন চারজন সরকারি আধিকারিকের বিবেচনার ভিত্তিতে, সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এবং মহামারী সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি মান্য করে জনসাধারণের সম্মুখে শান্তিপুর শহরের চাকফেরা নাট মন্দির প্রাঙ্গণে কৃতকর্মটি সকলের জন্য উন্মুক্ত হতে চলেছে। অনুপম সরকারের এবারের কৃতকর্মটির যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করছেন শান্তিপুর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সুমন দেবনাথ।

Recommended